পরিবার সঞ্চয়পত্রের নতুন নিয়ম ২০২৩ | Poribar Sanchayapatra

পরিবার সঞ্চয়পত্রের নতুন নিয়ম ২০২৩ আজ প্রকাশিত হয়েছে । আপনি কি সঞ্চয়পত্র বিজ্ঞপ্তির জন্য অপেক্ষা করছেন ? এখানে আপনি সঞ্চয়পত্র কেনার নিয়ম পরিবার সন্ঞয়পত্র ( Poribar Sanchayapatra ) সমস্ত তথ্য জানতে পারবেন

অতিসম্প্রতি সন্ঞয়পত্রে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে । আর এই পরিবর্তনের ফলে বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া, পত্রিকা এবং অনান্য অনলাইন প্লাটফর্মে সন্ঞয়পত্র নিয়ে ব্যাপক ধরনের আলোচনা এবং একি সাথে সমালোচনা হচ্ছে । তো আজকে আপনারা জানতে পারবেন যে,

সন্ঞয়পত্র এবং মুনাফার হার কমে, কোন সন্ঞয়পত্রে কি পরিমাণ হয়েছে, সেটি জানতে পারবেন । এবং এর ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা কি করবে, এবং কীভাবে তারা তাদের খতিগুলো রিকোভার করবে ।

সঞ্চয়পত্রের নতুন নিয়ম ২০২৩

বর্তমানে জাতীয় সন্ঞয় অধিদপ্তরের চালু সন্ঞয় কর্মসূচি ১১টি । এর মধ্যে ৪টি সন্ঞয়পত্র, ২টি ডাকঘর সন্ঞয় ব্যাংক হিসাব, ১টি ডাক জীবনবীমা, ১টি প্রাইজবন্ড এবং ৩টি প্রবাসিদের জন্য প্রবাসী বন্ড । তবে সব কর্মসূচিতে বিনিয়োগের বিপরীতে সুদ বা মুনাফার হার এক নয় । সুদের উপর করহারও ভিন্ন ভিন্ন । কোনো কোনো কর্মসূচিতে সুদ আয় পুরোপুরি করমুক্ত । কোনো কোনোটিতে ৫ লাখ টাকা পযর্ন্ত বিনিয়োগের কোনো উৎসে কর নেই, তবে এর পর থেকে আছে । আবার কোনো কোনোটির ক্ষেত্রে ৫ লাখ টাকা পযর্ন্ত বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সুদের উপর কর ৫% শতাংশ, এর বেশি হলেই তার দ্বিগুণ অর্থাৎ ১০% শতাংশ ।

সন্ঞয়পত্রের মুনাফার হার কমিয়েছে সরকার

অবশেষে সন্ঞয়পত্রের মুনাফার হার কমিয়েছে সরকার । যার যতবেশি বিনিয়োগ, তার মুনাফার হার হবে ততকম । তবে ১৫ লাখ টাকার কম বিনিয়োগের মুনাফা হার কিন্তু একই থাকছে । অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে এ নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে । প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, যারা নতুন করে সন্ঞয়পত্র কিনবেন, শুরু তাদেরই জন্যই পরিবতির্তে এই হার কার্যকর হবে । আগের কেনা সন্ঞয়পত্রের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সেটি পুনঃবিনিয়োগ করলে তখন নতুন মুনাফার হার কার্যকর হবে । ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানিক উভয়ের জন্য এই নতুন মুনাফার হার প্রযোজ্য হবে ।


যারা আগেই বিনিয়োগ করেছেন সন্ঞয়পত্রে, তাদের বাচ্চাদের এটি প্রযোজ্য নয়, তবে আপনার সন্ঞয়পত্রে বিনিয়োগের মেয়াদ যদি পূর্ণ হয় অর্থাৎ আপনি যদি আগেই ৫ বছরের জন্য যদি সন্ঞয়পত্রে বিনিয়োগ কটে থাকেন, তাহলে আপনার ৫ বছর পূর্ণ হওয়ার পরে আপনি এই নতুন হারের আওতায় আসবেন । কিন্তু আপনার এক্সজেস্টিং বা বিদ্যমান যে, বিনিয়োগগুলো রয়েছে সন্ঞয়পত্রে, সেই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই হার কোনো প্রভাব ফেলবেনা ।

৫ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সন্ঞয়পত্র

৫ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সন্ঞয়পত্রর ক্ষেত্রে বিদ্যমান মুনাফার হার যা ছিল ১৫ লাখ পযর্ন্ত, ঠিক তাই আছে কোনো পরিবর্তন হয়নি । কিন্তু আপনি যদি ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করেন যেটি আসলে ৩০ লাখ টাকা পযর্ন্ত, সেইক্ষেত্রে আপনি,

  • ১ম বছরান্তে ৮.৫৪% পাবেন ।
  • ২য় বছরান্তে ৮.৯৫% পাবেন ।
  • ৩য় বছরান্তে ৯.৩৬% পাবেন ।
  • ৪র্থ বছরান্তে ৯.৮২% পাবেন ।
  • ৫ম বছরান্তে ১০.৩০% পাবেন ।

আর আপনি যদি ৩০ লক্ষ টাকার উর্ধ্বে বিনিয়োগ করেন সেইক্ষেত্রে

  • ১ম বছরান্তে ৭.৭১% পাবেন ।
  • ২য় বছরান্তে ৮.০৮% পাবেন ।
  • ৩য় বছরান্তে ৮.৪৫% পাবেন ।
  • ৪র্থ বছরান্তে ৮.৮৬% পাবেন ।
  • ৫ম বছরান্তে ৯.৩০% পাবেন ।

সঞ্চয়পত্রের নতুন নিয়ম ২০২২ তো আপনারা বুঝতেই পারছেন যে, পরিবর্তনটা কোথায় হয়েছে । এখানেও একটা বিষয় লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, ১১.২১ % ছিল ৫ম বছরান্তে, কিন্তু এখন হয়েছে ৯.৩০% । অর্থাৎ প্রায় ২% কমে গিয়েছে মুনাফার হার । এখন আপনি যদি ৩০ লাখ টাকা উর্ধ্বে বিনিয়োগ করলে আগের চেয়ে ২% কম মুনাফা পাবেন । তো এইটা হলো ৫ বছরান্তে মুনাফার ক্ষেত্রে ।

আপনারা যদি ৩ মাস অন্তর সন্ঞয়পত্র দেখেন, তাহলেও দেখতে পাবেন যে, বিদ্যমান আর মুনাফার হার আর ১৫ লাখ টাকা যদি বিনিয়োগ করেন তাহলে মুনাফার হার কিন্তু একি । তবে আপনি যদি ১৫ লাখ টাকা উর্ধ্বে বিনিয়োগ করেন, আর সেটি যদি ৩০ লক্ষ টাকা পযর্ন্ত হয়, সেইক্ষেত্রে

  • ১ম বছরান্তে ৯.০৬% পাবেন ।
  • ২য় বছরান্তে ৯.৫১% পাবেন ।
  • ৩য় বছরান্তে ১০.০০% পাবেন ।

তবে আপনি যদি ৩০ লক্ষ টাকা উর্ধ্বে বিনিয়োগ করেন সেইক্ষেত্রে আপনার

  • ১ম বছরান্তে ৮.১৫% পাবেন ।
  • ২য় বছরান্তে ৮.৫৬% পাবেন ।
  • ৩য় বছরান্তে ৯.০০% পাবেন ।

তো আপনি বুঝতে পারবেন যে, এখানেও আপনার মুনাফার হার ২% এর বেশি কমেছে । অর্থাৎ আগে ছিল ১১.০৪% আর এখন ৯.০০% ।

পেনশনার সন্ঞয়পত্র :

পেনশনার সন্ঞয়পত্র হচ্ছে পেনশনভোগী সরকারি ছাত্র শাষিত যেসব অবসর প্রাপ্ত কর্মকর্তা রয়েছে তাদের জন্য । এখানে বিদ্যমান আর মুনাফার হার একিরকম থাকবে । তবে ১৫ লাখ টাকার উর্ধ্বে যদি আপনি বিনিয়োগ করেন সেটি যদি ৩০ লাখ টাকা পযর্ন্ত হয়, সেইক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন আছে । আর ৩০ লাখ টাকার বেশি যদি বিনিয়োগ করেন সেইক্ষেত্রেও কিছু পরিবর্তন আছে । এখানে দেখেন যে,

৫ম বছরান্তে আপনি পাচ্ছেন ১১.৭৬% আগের বিদ্যমান মুনাফা হারে, কিন্তু বর্তমানে পাবেন ৯.৭৫% । অর্থাৎ ২% এর ও বেশি কমে গেছে আপনার মুনাফার হার । এই কম মুনাফার হারটা ব্যাপক ক্ষেত্রে আরও বেশি ভূমিকা রাখবে ।এখন আগের মতো বিনিয়োগ হবে কিনা সেটা নিয়েও সবাই কনফিউজ । যেহেতু ফাইনালি আপনি পেনশনার সন্ঞয়পত্র বলেন বা যোকোনো সন্ঞয়পত্র বলেন, ২% এর বেশি আসলে কমে গিয়েছে ।

পরিবার সন্ঞয়পত্র :
যেই সন্ঞয়পত্রটি সবচেয়ে জনপ্রিয়, যে সন্ঞয়পত্রে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করা হয়, সেই সন্ঞয়পত্রের নাম হলো পরিবার সন্ঞয়পত্র । এখানে যেই বিদ্যমান হারটি ছিল ১৫ লাখ টাকা পযর্ন্ত সেই হারটি একি রকম রয়েছে, কোনো পরিবর্তন হয়নি । তবে, ১৫ লাখ টাকার উর্ধ্বে বিনিয়োগ করলে সেইক্ষেত্রে

  • ১ম বছরান্তে ৮.৬৬%
  • ২য় বছরান্তে ৯.১১%
  • ৩য় বছরান্তে ৯.৫৭%
  • ৪র্থ বছরান্তে ১০.০৩%
  • ৫ম বছরান্তে ১০.৫০%

আর ৩০ লাখ টাকার উর্ধ্বে যদি বিনিয়োগ করে থাকেন সেইক্ষেত্রে আপনি

  • ১ম বছরান্তে ৭.৮৩%
  • ২য় বছরান্তে ৮.২৫%
  • ৩য় বছরান্তে ৮.৬৬%
  • ৪র্থ বছরান্তে ৯.০৭%

৫ম বছরান্তে ৯.৫০% । যেটি পূর্বে ছিল ১১.৫২%, এখন হয়ে গেছে ৯.৫০% । তার মানে আপনার ২% এর বেশি কমে গেছে মুনাফা হার । তো পরিবার সন্ঞয়পত্রে কোনো ব্যতিক্রম নেই । তো ব্রেতিক্রমটা কোথায় ? ”’ ব্যতিক্রমটা হলো আসলে ডাকঘর সন্ঞয় ব্যাংকে ।

পারিবারিক সঞ্চয়পত্র pdf image
পারিবারিক সঞ্চয়পত্র pdf image 02

ডাকঘর সন্ঞয় ব্যাংকে – সাধারণ হিসাবে

ডাকঘর সন্ঞয় ব্যাংকের সাধারণ হিসাব, বিদ্যমান মুনাফার হার ছিল ৭.৫০%, ১৫ লাখ টাকা পযর্ন্ত ৭.৫০%, ১৫ লাখ টাকার উর্ধ্বে নিলেও ৭.৫০%, ৩০ লাখ টাকার উর্ধ্বে নিলেও ৭.৫০% । অর্থাৎ যোকোনো মেয়াদে আপনি বিনিয়োগ করতে পারেন যোকোনো পরিমাণ সেইক্ষেত্রে আপনি ৭.৫০% – ই মুনাফার হার পাবেন ।

ডাকঘর সন্ঞয় ব্যাংক-মেয়াদি হিসাব

অপরদিকে ডাকঘর সন্ঞয় ব্যাংকে যেই মেয়াদি হিসাব ছিল ৩ বছর মেয়াদের জন্য সেটিতে বিদ্যমান ছিল ১৫ লাখ টাকা তেমনই আছে । তবে ১৫ লাখের উর্ধ্বে ৩০ লাখ টাকা পযর্ন্ত এখানে আসলে বেশ কমে গিয়েছে । আবার ৩০ লাখের উর্ধ্বে আরো বেশি কমেছে । আপনি যদি ৩০ লাখ টাকার উর্ধ্বে বিনিয়োগ করেন সেইক্ষেত্রে আরো কম মুনাফা পাবেন । ৩য় বছরান্তে আপনি পেতেন ১১.২১% কিন্তু এখন আপনি ৩০ লক্ষ টাকার বেশি বিনিয়োগ করেন সেইক্ষেত্রে ৩য় বছরান্তে আপনি পাবেন ৯.৩০% । অর্থাৎ ২% মতো আসলে কমে গেছে । তো সব জায়গাতেই কমেছে, কিন্তু তারপরও ডাকঘর সন্ঞয় ব্যাংকে একটু কম কমেছে ।

সন্ঞয়পত্র :
মুনাফার হার কমানো কারণ কি ? বা মুনাফার হার কেন কমানো হলো ?
আপনারা জানেন যে, বেশকিছু দিন ধরে সন্ঞয়পত্রে ব্যাপক পরিমাণ বিনিয়োগ করা হচ্ছে । এবং এই বিনিয়োগের ফলে সরকার কিন্তু ব্যাপক পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করছে । সাধারণ মানুষের জন্য যেই বিনিয়োগটি সেই বিনিয়োগটি সরকারের জন্যেও একটা ঋণ । তো সরকার যখন অনেক পরিমাণ ঋণ নিচ্ছে সরকারের কিন্তু এই ঋণের উপরে ঋণের সুদ প্রদান করতে হচ্ছে । তো যেটি সরকারের জন্য বেশ ব্যয় সাপেক্ষ বা বেস কস্টলি । তো সরকার এই ঋণে বোজাটা কমাতে চাইছে এবং একি সাথে ঋণের উপর যেই সুদ হয় সেই সুদের পরিমাণটাও কমাতে চাইছে । এবং যার পদক্ষেপ হিসেবে আসলে এই ইন্টারেস্ট রেট কমিয়ে দেওয়া ।


এইছাড়া আরো কিছু বিষয় রয়েছে যেমন ; এই মুনাফার হার কমানোর ফলে এখন যেটি হবে যে, আগে মানুষ টাকা থাকলেই সন্ঞয়পত্র করত, কিন্তু এখন মানুষ সন্ঞয়পত্র করবেনা, এখন মানুষ বিভিন্ন জায়গাতে বিনিয়োগের চেষ্টা করবে, ব্যবসা বানিজ্য করতে চেষ্টা করবে, টাকা বিভিন্ন জায়গাতে খাটানোর চেষ্টা করবে।

এর ফলে কী হবে ? এর ফলে দেশে ব্যবসা – বানিজ্য বারবে, নতুন নতুন বিনিয়োগ, নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং এর ফলে আমদানি, রফতানি, আন্তর্জাতিক ব্যবসা সবকিছু মিলে সার্বিকভাবে দেশের অর্থনৈতিতে প্রসেটিবলি পরিবর্তন হবে । তো যার ফলে এই মুনাফার হার কমানো হয়েছে । এটি একদিক দিয়ে সরকারের জন্য সুবিধা হলো অপরদিক দিয়ে যারা সাধারণ মানুষ এবং যারা সাধারণ বিনিয়োগকারী তাদের জন্য একটু কষ্টকর হয়ে গেল বা তাদের জন্য ঝুঁকি বেশি নিতে হবে । এবং ঝুঁকি বেশি নিয়ে বিজনেস করতে হবে বা অন্য যেই কাজগুলো রয়েছে বা অন্যান্য যেই বিনিয়োগ রয়েছে সেই কাজগুলোতে বেশি মনোযোগ দিতে হবে ।

সঞ্চয়পত্রের নতুন নিয়ম ২০২৩

সন্ঞয়পত্র কীভাবে সাধারণ মানুষের ক্ষতি সমাধান

সাধারণ মানুষের যেই ক্ষতি হয় ২% সবকিছুতে কমিয়ে দিয়ে । তো এটি কীভাবে রিকোভার করা যায় । তো এখানে শটকাট একটা সমাধান আছে যে, আপনি যদি আপনার নামে ৪০-৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে থাকেন তাহলে এখন সেটি করবেন না । অর্থাৎ আপনার এখন বিদ্যমান যে বিনিয়োগগুলো আছে সেগুলো থেকে তো আপনি একজ্যাক্ট হারে মুনাফা পাবেন ।

আপনার এই বিনিয়োগের মেয়াদ যখন শেষ হয়ে যাবে তখন নতুন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আপনি সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা পযর্ন্ত বিনিয়োগ করবেন । এবং ১৫ লাখ টাকার বেশি পরিমাণ যেই টাকাটি রয়েছে সেটি আপনার স্ত্রী, স্বামী, বাবা-মা ভাই-বোন বা যেকেউ এর নামে বিনিয়োগ করতে পারবেন ।

এর ফলে যেই সুবিধা হবে সেটা হলো আপনি বা আপনার বাবা-মা ভাই-বোন যারা ১৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করবে তাদের সবার ক্ষেত্রে ইন্টারেস্ট কিন্তু কোনোভাবেই পরিবর্তন হবেনা । কিন্তু পার্সোনটা আলাদা হবে । তো এই ক্ষেত্রে আপনি একটি কাজ করতে পারেন যে, ১৫ লাখ টাকা আপনার নামে আপনার বাবার নামে ১৫ লাখ, আপনার মায়ের নামে ১৫ লাখ, আপনার বোনের নামে ১৫ লাখ, আপনার স্ত্রীর নামে ১৫ লাখ টাকা রাখতে পারেন । এইছাড়াও যেটি বিকল্প বলা হলো যে, আপনার যদি বেশি পরিমাণ টাকা থাকে সেইক্ষেত্রে আপনি ১৫ লাখ টাকা সন্ঞয়পত্র করে বাকি টাকাটা অন্যান্য খাতে

যেমন : ব্যাংকে অ্যাপডিয়ার করা, ব্যাংকে ডবল মানি ত্রিপল করা বা অন্যান্য বিভিন্ন খাত রয়েছে যেমন : বিজনেস করা যায় ৷ আর এই ধরনের যেই খাতগুলো রয়েছে এই খাতগুলোতে বিনিয়োগ করতে পারেন । সেইক্ষেত্রে সেটিও অর্থনীতির দিক দিয়ে যেমন ৷ ভালো হবে অপরদিক দিয়ে আপনার টাকাটি হালাল পথে উপার্জিত হবে । তো সেটি কিন্তু ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে বলেন বা আপনার ব্যবসায়ী দৃষ্টিকোণ থেকে বলেন । সবদিক দিয়েই হলেও ভালো হবে ।

সন্ঞয়পত্র কেনায় টাকার উৎস দেখাতে না পারলে বিপদ

সন্ঞয়পত্র কেনায় টাকার উৎস দেখাতে না পারলে এখন থেকে আপনাকে জরিমানা বা জেলও হতে পারে । এখানে বলা হয়েছে যে, সন্ঞয়পত্র কিনতে সাবধান হতে হবে । সন্ঞয়পত্র কেনা – সংক্রান্ত মিথ্যা তথ্যের জন্য জেল জরিমানা করা হবে । যেমন কেউ যদি সন্ঞয়পত্র ক্রয়ের টাকার উৎস দেখাতে না পারেন, কিংবা সন্ঞয়পত্র কেনার তথ্য আয়কর নথিতে গোপন করেন, অর্থাৎ মিথ্যা তথ্য দিয়ে সন্ঞয়পত্র কেনেন এবং তা প্রমাণিত হয়, তাহলে সর্বোচ্চ ৬ মাসের জেল বা এক লাখ টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দন্ডের বিধান রাখা হয়েছে ।

সরকারি ঋণ আইন ২০২১ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রীসভা । কোনো ব্যক্তি সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সন্ঞয় স্কিমের আওতায় ইস্যুকৃত সার্টিফিকেটের স্বত্ব অর্জনের উদ্দেশ্যে মিথ্যা বক্তব্য দিলে সর্বোচ্চ ৬ মাসের জেল কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দন্ডের দন্ডিত হতে পারেন । যিনি টাকা পয়সা বিনিয়োগ করবেন, তা নিয়ে যদি মিথ্যা কথা বলেন ; যেমন সেই টাকা কোথা থেকে এল আর তা যদি আয়কর নথিতে দেখানো না হয়, তাহলে শাস্তির আওতায় আসবেন তিনি । আপনি যেই সন্ঞয়পত্রে বিনিয়োগ করছেন সেটা অবশ্যই আপনার আয়কর নথিতে দেখতে হবে ।

আপনি যদি সেই আয়কর বছরে বিনিয়োগ করে থাকেন, তবেই আপনি আয়কর নথিতে দেখাবেন যেমন ; আপনি ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালে জুন এর মধ্যে যদি আপনি সন্ঞয়পত্র কিনে থাকেন, তবেই আপনি ২০২১ সালে আয়কর নথিতে সেটা দেখতে পারবেন । কিন্তু আপনি যদি তার আগের বছর সন্ঞয়পত্র কিনলে সেটি আয়কর নথিতে আসবেনা । অর্থাৎ আয়কর নথিতে যেটা আসবে সেটা হচ্ছে লাস্ট সেই এক বছর বা যেই অর্থ বছর সেই অর্থ বছরের সন্ঞয়পত্র আপনি যদি বিনিয়োগ করে থাকেন, সেটি আপনাকে দেখতে হবে আয়কর নথিতে ।

সন্ঞয়পত্রে গ্রাহকের টিআইএন সঠিক কিনা, যাচাই হবে

এখন থেকে সন্ঞয়পত্রের গ্রাহকের টিআইএন সঠিক কিনা যাচাই করা হবে । অর্থাৎ সন্ঞয়পত্র করার সময় সন্ঞয়পত্রে যেই টিআইএন সার্টিফিকেটের নাম্বার দেন, সেই নাম্বারগুলো সঠিক কিনা তা যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে । যেটি পূর্বে যাচাই-বাছাই করে দেখা হতো না । তবে বর্তমানে সন্ঞয়পত্র বিক্রির সময় গ্রাহক যেই টিআইএন নাম্বার দেন তা সঠিক কিনা এতদিন সেটি কিন্তু যাচাই করা সন্ঞয় অধিদপ্তরের পক্ষে সম্ভব ছিলনা । এখন থেকে সন্ঞয় অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এই এনবিআরের টিআইএন সার্ভারে ঢুকে দেখতে পারবেন গ্রাহকের দেওয়া টিআইএন সঠিক কি সঠিক না । সঠিক হলেই শুধু সন্ঞয়পত্র কেনার কেনার সুযোগ পাবেন গ্রাহক । আর যাদের সঠিক হবেনা তারা সন্ঞয়পত্র কিনতে পারবেন না ।

প্রবাসীদের বন্ডের মুনাফাও কমল

প্রবাসীদের বন্ডের মুনাফা হারও কমিয়েছে সরকার । এর ফলে দেশের বাইরে থাকা বাংলাদেশিরা ডলারে যেসব বিনিয়োগ করেন, তাদেরও মুনাফা কমবে । তবে নতুন করে বিনিয়োগ করা বন্ড থেকে শুধু মুনাফা । আগের কেনা বন্ডের মেয়াদ পূর্তি না হওয়া পযর্ন্ত আগের মুনাফা দেওয়া হবে ৷ প্রবাসীদের তিন বন্ড হলো ওয়েজ আনার ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড ও ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড এসব বন্ড পাওয়া যায় বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউস, দেশি ব্যাংকে বিদেশি কোনো শাখায় ও বাংলাদেশের ব্যাংক শাখায় । আবার এসব বন্ডের বিপরীতে দেশি ব্যাংক থেকে ঋণও পাওয়া যায় । বিনিয়োগ করা অর্থনৈতিক চাইলে আবার বিদেশে ফেরত নেওয়া যায় । এসব বন্ডে বিনিয়োগ করে সিআইপি সুবিধা পাওয়া যায় । আবার এই আয়ে করমুক্ত সুবিধাও মেলে ।

ওয়েজ ডেভেলপমেন্ট এর বন্ড আগে ছিল ১১.২০% । এখনো সেটি ১৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করলে ১১.২০% -ই রয়েছে । তবে আপনি যদি ৩০ লাখ টাকা পযর্ন্ত বিনিয়োগ করেন সেইক্ষেত্রে এটি ১০.২০% । আবার আপনি ৩০-৫০ লাখ টাকার মধ্যে বিনিয়োগ করলে এটি ৯.৩৩% আর আপনি যদি ৫০ লাখের বেশি বিনিয়োগ করেন সেইক্ষেত্রে ৮.৪০% । অর্থাৎ প্রায় ৩% কমিয়ে দিয়েছে ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট এর বন্ড ।

অন্যদিকে ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ডে কোনো কিছুই কমানো হয়নি । সবকিছু ঠিকই রয়েছে । আর ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডেও আসলে আগের মতোই রয়েছে । অর্থাৎ প্রিমিয়াম বন্ডে ৭.৫০% করে, আর ইনভেস্টমেন্ট বন্ডে ৬.৫০% করে । তো এটি বুঝতে পেরেছেন যে, প্রবাসী ভাই-বোনদের জন্য আসলে কি কি পরিবর্তন এসেছে ।

সন্ঞয়পত্র :

সন্ঞয়পত্র কয় ধরনের ও কী কী ?

সন্ঞয়পত্র দুই ধরনের, যথা :

  • ১. বাংলাদেশের নাগরিক যারা বাংলাদেশ বা দেশের বাইরে থাকেন ।
  • ২. বাংলাদেশের নাগরিক যারা দেশের বাইরে থাকেন । অর্থাৎ যারা প্রবাসী ।

১. বাংলাদেশের নাগরিক যারা বাংলাদেশ বা দেশের বাইরে থাকেন।

বাংলাদেশ সন্ঞয়পত্র : বাংলাদেশ সন্ঞয়পত্রের মেয়াদ : ৫ বছর, মুনাফা দেওয়া হয় : মেয়াদান্তে, মুনাফার হার : আপনি যদি ১৫ লাখ টাকা পযর্ন্ত বিনিয়োগ করেন সেইক্ষেত্রে আপনার ১১.২৮% ।

৩ মাস অন্তর সন্ঞয়পত্র : ৩ মাস অন্তর সন্ঞয়পত্র মেয়াদ : ৩ বছর, মুনাফা দেওয়া হবে : ৩ মাস পর পর, মুনাফার হার : আপনি যদি ১৫ লাখ টাকা পযর্ন্ত বিনিয়োগ করেন সেইক্ষেত্রে আপনার ১১.০৪% ।

পরিবার সন্ঞয়পত্র : পরিবার সন্ঞয়পত্রের মেয়াদ : ৫ বছর, মুনাফা দেওয়া হবে : ১ মাস পর পর, আপনি যদি ১৫ লাখ টাকা পযর্ন্ত বিনিয়োগ করেন সেইক্ষেত্রে আপনার ১১.৫২% ।

পেনশনার সন্ঞয়পত্র : পেনশনার সন্ঞয়পত্রের মেয়াদ হবে : ৫ বছর, মুনাফা দেওয়া হবে : ৩ মাস পর পর, আপনি যদি ১৫ লাখ টাকা পযর্ন্ত বিনিয়োগ করেন সেইক্ষেত্রে আপনার ১১.৭৬% ।

২. প্রবাসী অর্থাৎ যারা বাংলাদেশের নাগরিক কিন্তু দেশের বাইরে থাকেন ।

ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট এর বন্ড : সর্বোচ্চ বিনিয়োগ ১ কোটি টাকা হলে মেয়াদ হবে : ৫ বছর, মুনাফা হার হবে : ১২%, আর এখানে কোনো ট্যাক্স দিতে হবেনা ।

ইউএস ডলার প্রিমিয়াম : সর্বোচ্চ বিনিয়োগ ১ কোটি টাকা হলে মেয়াদ হবে : ৩ বছর, মুনাফা হার হবে : ৭.৫%, আর এখানেও কোনো ট্যাক্স দিতে হবেনা ।

ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড : সর্বোচ্চ বিনিয়োগ ১ কোটি টাকা হলে মেয়াদ হবে : ৩ বছর, মুনাফা হার হবে : ৬.৫%, এইক্ষেত্রে কোনো ট্যাক্স দিতে হবেনা ।

কারা এই সন্ঞয়পত্র কিনতে পারবেন ?

বাংলাদেশ সন্ঞয়পত্রের ক্ষেত্রে :

  • ১.সকল শ্রেণির ও পেশার বাংলাদেশি নাগরিক ।
  • ২.স্বীকৃত ভবিষ্যৎ তহবিল ও ভবিষ্যৎ তহবিল ।
  • ৩.নাবালকের পক্ষেও ক্রয় করা যায় ।

৩ মাস অন্তর সন্ঞয়পত্রের ক্ষেত্রে :

  • ১.সকল শ্রেণির ও পেশার বাংলাদেশি নাগরিক ।
  • ২.নাবালকের পক্ষেও ক্রয় করা যায় ।

পরিবার সন্ঞয়পত্রের ক্ষেত্রে :

  • ১. ১৮ বা বেশি বয়সের যেকোনো বাংলাদেশি মহিলা ।
  • ২. শারীরিক প্রতিবন্ধী পুরুষ ও মহিলা ।
  • ৩. ৬৫ বা বেশি বয়সের বাংলাদেশী ( পুরুষ ও মহিলা ) নাগরিক ।

পেনশনার সন্ঞয়পত্রের ক্ষেত্রে :

  • ১. অবসরপ্রাপ্ত সরকারি, আধা – সরকারি, স্বায়নত্ত্বশাসিত, আধা-স্বায়নত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা / কর্মচারী ।
  • ২. সুপ্রীম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত মাননীয় বিচারপতিগন ।
  • ৩.সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য এবং
  • ৪. মৃত চাকুরীজীবি পারিবারিক পেনশন সুবিধাভোগী স্বামী / স্ত্রী / সন্তান ।

সন্ঞয়পত্র পরিচয় সংক্ষেপে
বাংলাদেশ সন্ঞয়পত্র : মেয়াদ ৫ বছর, মুনাফা দেওয়া হবে মেয়াদান্তে, সর্বনিম্ন বিনিয়োগ ১,০০০ টাকা, উৎসে করv ৫ লাখ টাকা পযর্ন্ত ৫%, উৎসে কর ৫ লাখ টাকা উর্ধ্বে ১০% ।

৩ মাস অন্তর সন্ঞয়পত্র : মেয়াদ ৩ বছর, মুনাফা দেওয়া হবে ৩ মাস পর পর , সর্বনিম্ন বিনিয়োগ ১,০০,০০০ টাকা, উৎসে কর ৫ লাখ টাকা পযর্ন্ত ৫%, উৎসে কর ৫ লাখ টাকা উর্ধ্বে ১০% ।

পরিবার সন্ঞয়পত্র : মেয়াদ ৫ বছর, মুনাফা দেওয়া হবে ১ মাস পর পর , সর্বনিম্ন বিনিয়োগ ১০,০০০ টাকা, উৎসে কর ৫ লাখ টাকা পযর্ন্ত ৫%, উৎসে কর ৫ লাখ টাকা উর্ধ্বে ১০% ।

পেনশনার সন্ঞয়পত্র : মেয়াদ ৫ বছর, মুনাফা দেওয়া হবে ৩ মাস পর পর , সর্বনিম্ন বিনিয়োগ ৫০,০০০ টাকা, উৎসে কর ৫ লাখ টাকা পযর্ন্ত ০%, উৎসে কর ৫ লাখ টাকা উর্ধ্বে ১০% ।

একক নামে বিনিয়োগ ; বাংলাদেশ সন্ঞয়পত্রের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ, ৩ মাস অন্তর সন্ঞয়পত্রের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ, পরিবার সন্ঞয়পত্রের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৪৫ লাখ, পেনশনার সন্ঞয়পত্রের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা ।

একক নামে সর্বোচ্চ বিনিয়োগ : বাংলাদেশ সন্ঞয়পত্র, ৩ মাস অন্তর সন্ঞয়পত্র, পরিবার সন্ঞয়পত্র, এই তিনটি মিলে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা । পেনশনার সন্ঞয়পত্রের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা ।

যৌথ নামে বিনিয়োগ : বাংলাদেশ সন্ঞয়পত্র : সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকা, ৩ মাস অন্তর সন্ঞয়পত্র : সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকা, পরিবার সন্ঞয়পত্র : ( – ), পেনশনার সন্ঞয়পত্র : ( – ),

যৌথ নামে সর্বোচ্চ বিনিয়োগ : বাংলাদেশ সন্ঞয়পত্র, ৩ মাস অন্তর সন্ঞয়পত্র, পরিবার সন্ঞয়পত্র, এই তিনটি মিলে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা । পেনশনার সন্ঞয়পত্রের ক্ষেত্রে আরো ১ কোটি টাকা ।

কারা পারবে : বাংলাদেশ সন্ঞয়পত্রের ক্ষেত্রে : পুরুষ ও মহিলা । ৩ মাস অন্তর সন্ঞয়পত্রের ক্ষেত্রে : পুরুষ ও মহিলা । পরিবার সন্ঞয়পত্রের ক্ষেত্রে : সাধারণত মহিলা । পেনশনার সন্ঞয়পত্রের ক্ষেত্রে : অবসরপ্রাপ্ত ।

সন্ঞয়পত্র মেয়াদের পূর্বে নগরায়নে কত হারে মুনাফা
এটি আসলে আপনি যদি ১৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন সেইক্ষেত্রে কি পরিমাণ মুনাফা হার পাবেন সেটা হলো :

১ বছরান্তে

বাংলাদেশ সন্ঞয়পত্রের ক্ষেত্রে : ৯.৫০%,
৩ মাস অন্তর সন্ঞয়পত্রের ক্ষেত্রে : ১০%,
পরিবার সন্ঞয়পত্রের ক্ষেত্রে : ৯.৭০%,
পেনশনার সন্ঞয়পত্রের ক্ষেত্রে : ৯.৩৫%
২ বছরান্তে

বাংলাদেশ সন্ঞয়পত্রের ক্ষেত্রে : ১০%
৩ মাস অন্তর সন্ঞয়পত্রের ক্ষেত্রে : ১০.৫০%
পরিবার সন্ঞয়পত্রের ক্ষেত্রে : ১০.১৫%
পেনশনার সন্ঞয়পত্রের ক্ষেত্রে : ৯.৮০%
৩ বছরান্তে

বাংলাদেশ সন্ঞয়পত্রের ক্ষেত্রে : ১০.৫০%,
৩ মাস অন্তর সন্ঞয়পত্রের ক্ষেত্রে : ১০.০৪%,
পরিবার সন্ঞয়পত্রের ক্ষেত্রে : ১০.৬৫%,
পেনশনার সন্ঞয়পত্রের ক্ষেত্রে : ৯.২৫%
৪ বছরান্তে

বাংলাদেশ সন্ঞয়পত্রের ক্ষেত্রে : ১১%,
৩ মাস অন্তর সন্ঞয়পত্রের ক্ষেত্রে : (-)
পরিবার সন্ঞয়পত্রের ক্ষেত্রে : ১১.২০%,
পেনশনার সন্ঞয়পত্রের ক্ষেত্রে : ১০.৭৫%
৫ বছরান্তে

বাংলাদেশ সন্ঞয়পত্রের ক্ষেত্রে : ১১.৫২%,
৩ মাস অন্তর সন্ঞয়পত্রের ক্ষেত্রে : (-)
পরিবার সন্ঞয়পত্রের ক্ষেত্রে : ১১.৭৬%,
পেনশনার সন্ঞয়পত্রের ক্ষেত্রে : ১০.২৮%
সন্ঞয়পত্রের মুনাফা
৩ মাস অন্তর সন্ঞয়পত্রের ক্ষেত্রে

মেয়াদ : ৩ বছর,
মুনাফার হার : ১১.০৪%,
এক নামে বিনিয়োগ ৫ লক্ষ টাকা পযর্ন্ত হলে ১ লাখে প্রদ্বেয় : ৮৭৪ টাকা ( মাসিক ),
উৎসে কর : ৫%
এক নামে বিনিয়োগ ৫ লক্ষ টাকা পযর্ন্ত হলে ১ লাখে প্রদ্বেয় : ৮২৮ টাকা ( মাসিক ),
উৎসে কর : ১০%
পরিবার সন্ঞয়পত্রের ক্ষেত্রে

মেয়াদ : ৫ বছর,
মুনাফার হার : ১১.৫২%,
এক নামে বিনিয়োগ ৫ লক্ষ টাকা পযর্ন্ত হলে ১ লাখে প্রদ্বেয় : ৯১২ টাকা ( মাসিক ),
উৎসে কর : ৫%
এক নামে বিনিয়োগ ৫ লক্ষ টাকা পযর্ন্ত হলে ১ লাখে প্রদ্বেয় : ৮৬৪ টাকা ( মাসিক ),
উৎসে কর : ১০%
বাংলাদেশ সন্ঞয়পত্রের ক্ষেত্রে

মেয়াদ : ৫ বছর,
মুনাফার হার : ১১.২৮%,
এক নামে বিনিয়োগ ৫ লক্ষ টাকা পযর্ন্ত হলে ১ লাখে প্রদ্বেয় : ৮৯৩ টাকা ( মাসিক ),
উৎসে কর : ৫%
এক নামে বিনিয়োগ ৫ লক্ষ টাকা পযর্ন্ত হলে ১ লাখে প্রদ্বেয় : ৮৪৬ টাকা ( মাসিক ),
উৎসে কর : ১০%
পেনশনার সন্ঞয়পত্রের ক্ষেত্রে

মেয়াদ : ৫ বছর,
মুনাফার হার : ১১.৭৬%,
এক নামে বিনিয়োগ ৫ লক্ষ টাকা পযর্ন্ত হলে ১ লাখে প্রদ্বেয় : ৯৮০ টাকা ( মাসিক )
উৎসে কর : ০%
এক নামে বিনিয়োগ ৫ লক্ষ টাকা পযর্ন্ত হলে ১ লাখে প্রদ্বেয় : ৮৮২ টাকা ( মাসিক )
উৎসে কর : ১০%


সন্ঞয়পত্রের পুনঃবিনিয়োগ সুবিধা

৩ মাস অন্তর সন্ঞয়পত্রের ক্ষেত্রে : নেই

পরিবার সন্ঞয়পত্রের ক্ষেত্রে : নেই

পেনশনার সন্ঞয়পত্রের ক্ষেত্রে : নেই

বাংলাদেশ সন্ঞয়পত্রের ক্ষেত্রে : এক মেয়াদের জন্য স্বয়ংক্রিয় পুনঃবিনিয়োগ সুবিধা ।

ডাকঘর সন্ঞয়পত্রের ক্ষেত্রে : স্বয়ংক্রিয় পুনঃবিনিয়োগ সুবিধা পাওয়া যায় ।

সন্ঞয়পত্র কোথায় পাওয়া যায় ?

  • ১. জাতীয় সন্ঞয় ব্যুরো
  • ২.বাংলাদেশ ব্যাংক
  • ৩.অন্যান্য ব্যাংক সমূহ

৪.ডাকঘর

সন্ঞয়পত্র বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য

  • ১. সন্ঞয়পত্র কেনার জন্য কোনো প্রসেসিং ফ্রী নেই ।
  • ২. নমিনি নিয়োগ করা যায় সর্বোচ্চ ৩ জন ।
  • ৩. ১৮ বছরের কম বয়সীকে নমিনি নিয়োগ করা যায় ।
  • ৪. হারিয়ে গেলে, পুড়ে গেলে বা নষ্ট হলে ডুুুপ্লিকেট সন্ঞয়পত্র ইস্যু করা যায় ।
  • ৫. সন্ঞয়পত্র এক স্থান হতে অন্য স্থানে স্থানান্তর করা যায় ।
  • ৬.সন্ঞয়পত্র ব্যাংকে ঋণের জন্য জামানত / আমানত হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না ।
  • ৭.বয়বসা বানিজ্যে সন্ঞয়পত্র জামানত হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না ।

সন্ঞয়পত্র নগদায়ন করবেন কীভাবে ?

ক.মেয়াদপূর্তি পূর্বে নগদায়ন করলে ?

  • ১. সন্ঞয়পত্র গৃহীতাকে সংশ্লিষ্ট অফিসে নিজে গিয়ে আবেদন করতে হবে ।
  • ২. Acknowledgement copy সাথে আনতে হবে ।
  • ৩. অরিজিনাল ভোটার আইডি কার্ড আনতে হবে ।

খ.মেয়াদপূর্তিতে নগদায়ন করলে ?

  • ১.সন্ঞয়পত্র মেয়াদপূর্তিতে EFT এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে একাউন্টে চলে যাবে ।
  • ২. এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৭২ ঘন্টা সময় লাগতে পারে ।
  • ৩.সম্পূর্ণ টাকায় পাবেন মুনাফাসহ ।
সঞ্চয়পত্রের নতুন নিয়ম new pdf

আসসালামু আলাইকুম আশা করি আজকের সঞ্চয়পত্রের নতুন নিয়ম ২০২৩ বিজ্ঞপ্তির সম্বন্ধের তৈরি করা তথ্য টি আপনার ভালো হবে বুঝতে পেরেছেন । যদি কিছু বুঝতে না পারেন অথবা আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে নিচের কমেন্টস করতে পারেন । ইনশাআল্লাহ আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব ।

পেনশন সঞ্চয়পত্রের নতুন নিয়ম ২০২৩

একজন পেনশনার তা সে নিজে বা পারিবারিক পেনশনার সর্বনিম্ন ৫০,০০০ টাকা মূল্যের সঞ্চয়পত্র হতে ১,০০,০০০ টাকা; ২,০০,০০০ টাকা; ৫,০০,০০০ ও ১০,০০,০০০ টাকা মূল্যমানের সঞ্চয়পত্র ক্রয় করতে পারবে। কোন ভাবেই তা একক নামে সর্বোচ্চ ৫০ (পঞ্চাশ) লক্ষ টাকা তবে আনুতোষিক ও সর্বশেষ ভবিষ্য তহবিল হতে প্রাপ্ত অর্থের বেশী নয় ।


সোনালী ব্যাংক সঞ্চয়পত্রের নতুন নিয়ম ২০২৩

বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে দেয়া সোনালি ব্যাংক সঞ্চয়পত্রের নতুন নিয়ম অনুযায়ী একজন ব্যক্তি সব ধরনের সঞ্চয়পত্র মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারবেন । এক্ষেত্রে তিন মাস অন্তর মুনাফা-ভিত্তিক সঞ্চয়পত্র এবং পাঁচ বছর মেয়াদী সঞ্চয়পত্রের স্কিমে ৩০ লাখ টাকার বেশি কিনতে পারবেন না ।


সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ২০২৩

বিনিয়োগ আপনি বিভিন্ন এসেটে করতে পারবেন। তিন বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্রে বর্তমানে মেয়াদ শেষে মুনাফার হার ১১ দশমিক শূন্য চার শতাংশ। সেটি এখন ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কমিয়ে করা হয়েছে ১০ শতাংশ। আর এই সঞ্চয়পত্রে যাদের বিনিয়োগ ৩০ লাখ টাকার বেশি তারা মেয়াদ শেষে মুনাফা পাবেন ৯ শতাংশ হারে ।


তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র

ক্রয়ের ঊর্ধ্বসীমাঃ একক নামে ৩০ লক্ষ অথবা যুগ্ম-নামে ৬০ লক্ষ টাকা। মেয়াদঃ ৩ (তিন) বছর। টীকাঃ ১ (এক) লক্ষ টাকায় তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের প্রতি তিন মাস অন্তর মুনাফার কিস্তি সর্বোচ্চ ১১.০৪% হারে টাকা ২,৭৬০.০০ (দুই হাজার সাতশত ষাট) টাকা মাত্র প্রদেয় হবে । প্রযোজ্য ক্ষেত্রে লেভি/মুনাফা কর্তন হবে ।

  • অগ্রণী ব্যাংক সঞ্চয়পত্রের নতুন নিয়ম ২০২৩
  • পেনশন সঞ্চয়পত্রের নতুন নিয়ম ২০২৩
  • সঞ্চয়পত্রের নতুন নিয়ম ২০২৩ পিডিএফ
  • পারিবারিক সঞ্চয়পত্রের নতুন নিয়ম

অপ্রাপ্তবয়ষ্ক ব্যাক্তি সঞ্চয়পত্র ক্রয় করতে পারে কি ?

না, অপ্রাপ্তবয়ষ্ক ব্যাক্তি সঞ্চয়পত্র ক্রয় করতে পারে না।

অপ্রাপ্তবয়ষ্ক ব্যাক্তির পক্ষে প্রাপ্তবয়ষ্ক ব্যাক্তি সঞ্চয়পত্র ক্রয় করতে পারে কি ?

না, অপ্রাপ্তবয়ষ্ক ব্যাক্তির পক্ষেও সঞ্চয়পত্র কেনার নিয়ম নেই

Advertisement
Advertisement

Leave a Comment