আজকের এই আর্টিকেলে আপনার জানতে পারবেন অনলাইনে মোবাইলের মাধ্যমে কিভাবে লোন নেওয়া সম্ভব, এছাড়াও অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য, যেমন ডকুমেন্ট আবেদনের সময় এবং নতুন নিয়মে কিভাবে নিবেন

অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ

আপনি যদি একটি ভালো করে পূঁজি দিয়ে ব্যবসা দাঁড় করাতে চান তাহলে আপনার অবশ্যই পকেটে টাকা থাকতে হবে পকেটে টাকা না থাকলে আপনি ভালোভাবে পুঁজি দিয়ে ব্যবসা করতে পারবেন না। অনেকে আছে ব্যাংকের উপর নির্ভর করে দোকান নিতে চাই কিন্তু ব্যাংক প্রথমত শুরুতে টাকা দিতে চায় না। দুই বছর অথবা ১ বছর ব্যবসা পোরানো হলে তারপর ব্যাংক সুন্দর ভাবে লোন দিয়ে থাকে।

আপনি যদি প্রথম দিকেই ব্যাংক থেকে লোন নিতে চান তাহলে পাবেন না এক্ষেত্রে আপনাকে অনলাইন লোন এপস গুলো ভালোভাবে প্রথমদিকে লোন দিয়ে দিবে।

কথা শুরু করার আগে একটি disclaimer দিয়ে থাকি যদি বর্তমানে মোবাইল apps থেকে লোন নিতে গিয়ে অনেকে প্রতারনার শিকার হয়েছে। আমার কাজ হচ্ছে শুধুমাত্র আপনাদের ইনফরমেশন দেওয়া আপনারা ভালোভাবে দেখে শুনে তারপর অ্যাপসটি ডাউনলোড করবেন।

অনলাইন লোন অ্যাপস

অনলাইন লোন অ্যাপস হচ্ছে একটি অ্যাপ্লিকেশন যেটি আপনি গুগল প্লে স্টোর অথবা অন্যান্য মাধ্যম থেকে ডাউনলোড করে আপনার মোবাইলের মাধ্যমে অনেক সহজেই ঋণ নেওয়ার মতো একটি মাধ্যম। এই অ্যাপ ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য এবং আত্মিক তথ্য সরবরাহ করে এবং তাদের সম্পত্তির বিভিন্ন আপেক্ষিক প্রয়োজনীয়তা অনুসারে সমর্থন প্রদান করে থাকে।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় কিছু অনলাইন লোন অ্যাপস।

• ক্রেডিট কার্ড কোম্পানি অ্যাপস
• ব্যাঙ্ক অ্যাপস
• বিকাশ অ্যাপস
• পীর-টু-পীর প্ল্যাটফর্ম

বিকাশ থেকে লোন কিভাবে পাবেন

বর্তমানে অনলাইন অ্যাপস এর মধ্যে যদি কোন প্রতিষ্ঠান নিরভেজাল ভাবে লোন দিয়ে থাকে সেটি হচ্ছে বিকাশ। কারণ কয়েক বছর ধরে বিকাশ অনেক সুন্দর ভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে যাচ্ছে। কিন্তু বিকাশ থেকে লোন নিতে হলে কিছু রিকুয়ারমেন্ট আপনাকে পূরণ করতে হবে। সে রিকোয়ারমেন্ট পূরণ হওয়া না পর্যন্ত আপনি লোন নিতে পারবেন না। বিকাশ থেকে লোন নিতে আরো সহজ হবে কিভাবে জানেন যদি আপনি বিকাশে ব্যবসা করে থাকেন।

কারণ বেশি পরিমাণ আপনার একাউন্টে লেনদেন হবে সে ক্ষেত্রে অনেক সহজে আপনি বিকাশ থেকে লোন নিতে পারবেন। অন্যান্য app থেকে লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে আমি একদম ১০০% শিওর না কিন্তু বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে আমি ১০০% শিওর। এক্ষেত্রে আপনার থেকে প্রতি মাসে তারা তাদের কিস্তির টাকাটি কেটে নিবে আপনার খবর হবে না।

আর বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে কোন ধরনের প্রতারণায় কেউ পড়েছে কিনা সে বিষয়ে এখনও কোন কিছু জানা যায়নি। তারমানে আপনি বিকাশ থেকে একদম সিম্পলি টাকা নিতে পারবেন। কিরকম লেনদেন হলে এবং কিভাবে আপনি লোনটি নিতে পারবেন সে বিষয়ে এখনো পর্যাপ্ত পরিমাণ জানা যায়নি। যতটুকু এই পর্যন্ত জানা গেছে চলুন সে বিষয়ে নিচে জানানো যাক।

অনলাইন লোন সুবিধা করা পাবেন

অনলাইন লোন সুবিধা করা পাবেন সেটি জানতে আপনি বিকাশ অ্যাপসে ঢুকবেন বিকাশ অ্যাপসে ঢোকার পর আপনি বিকাশ লোন অপশনে গিয়ে আপনি যদি লোন পাওয়ার যোগ্য হন তাহলে কত টাকা লোন পাবেন সেটি দেখতে পাবেন।

বিকাশ অ্যাপ থেকে লোন নেওয়ার সুবিধা

• অনলাইন লোন আবেদন করার সাথে সাথে লোন পেয়ে যাবেন
• লোন নেওয়ার জন্য আপনার কোন ধরনের কাগজপত্র লাগবে না
• বিকাশ একাউন্টে টাকা থাকলে আপনি অটো কিস্তি পরিশোধ করা যাবে
• কোন ধরনের ব্যাংক একাউন্ট বা জামানত লাগবে না।

লোনের টাকা তিন মাসের কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে লোন টাকার উপর মাত্র ৯% সুদ প্রযোজ্য হবে লোনের উপর ব্যাংক প্রসেসিং ফ্রি মাত্র ০.৫৭৫%(০৫%ভ্যাট) প্রযোজ্য।

ব্যাংকের মাধ্যমে যদি আপনার লোন দেন তাহলে আপনার অনেক কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে এছাড়াও আপনার যদি একাউন্ট খোলার সময় বিভিন্ন কাগজপত্র জমা না দেন তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনাকে লোন দেওয়া সম্ভব হবে না এক্ষেত্রে আপনি আপনার মোবাইল থেকে অনেক সহজেই এখানে কিন্তু আপনি লোন নিতে পারবেন চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক লোন নেওয়ার সময় প্রয়োজন হবে।

প্রথমে আপনাকে জিটি করতে হবে সেটি হচ্ছে ইনস্ট্যান্ট লুনাথ রেজিস্টার করতে হবে এটি আপনার ব্যক্তিগত তথ্য যেমন নাম যোগাযোগ নাম্বার ইমেইল এড্রেস ইত্যাদি সহ আপনার এটি বিনামূল্যে কিন্তু তৈরি করতে হবে।

• এরপর আপনি কত টাকা ঋণ নিবেন সেটি সিলেক্ট করতে হবে।
• এরপর আপনাকে একটি নাম্বার দিতে হবে এবং একটি ইমেইল এড্রেস মানে ইমেইল

এরপরে আপনাকে কিছু তালিকাভুক্ত বা অন্যান্য ডকুমেন্ট দেওয়া হতে পারে, যেমন কিছু তালিকাভুক্ত ডকুমেন্ট যেমন বেতন স্লিপ ব্যক্তিগত আয়কর রিটার্ন ব্যাংক স্টেটমেন্ট। ইত্যাদি

সব প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করার পর আপনি অনলাইনে এপ্লিকেশন জমা দিতে পারেন। এটি অধিকাংশ আপনার নিজের সময় এবং শাখা হতে পারে আপনার অ্যাপ্লিকেশন সমীক্ষা করা হবে এবং আপনি যদি চরিত্রহীনভাবে সমস্ত তথ্য প্রদান করেন।

আপনার অ্যাপ্লিকেশন সমীক্ষা করা হবে এবং আপনি যদি যত্নশীল ভাবে সমস্ত তথ্য প্রদান করেন তাহলে আপনার লোন অনুমোদিত হতে পারে।

আপনি যদিও অনুমোদিত হন তাহলে এক্সপোর্ট অথবা আপনার নির্দিষ্ট ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা দেওয়া হবে।

অনলাইনে মোবাইল লোন নেওয়ার জন্য কি কি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রয়োজন হবে।

বাংলাদেশে অনলাইনে আপনি যদি লোন নিতে চান তাহলে ব্যাংকের মতো বেশি কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হবে না। এক্ষেত্রে অনলাইনে লোন নিতে হলে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হবে চলুন সে বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যায়।

• জাতীয় পরিচয় পত্র
• মোবাইল নাম্বার
• আয়ের প্রতিলিপি
• আয়ের পত্র এবং ট্যাক্স রিটার্ন
• ঠিকানা প্রমাণপত্র
• চাকরির প্রমাণপত্র (যদি উপস্থিত থাকে)
• ব্যবসার সংক্রান্ত তথ্য (যদি উপস্থিত থাকে)।

সর্বশেষ কিছু কথা

আপনার যদি লোন নিতে ইচ্ছা হয় তাহলে আপনি বিভিন্ন এনজিও থেকেও লোন নিতে পারবেন। লোন নেওয়া এখন অনেকটা সহজ হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন এনজিও এখন সামান্য ডকুমেন্টস আপনাকে লক্ষ লক্ষ টাকা দিতে পারছে। আপনার যদি অনলাইনে mobile apps থেকে লোন নিতে ইচ্ছে হয় তাহলে,সবকিছু বিস্তারিত জেনে বুঝে তারপর লোন নিয়েন কারণ বিভিন্ন লোন দেওয়া প্রতিষ্ঠান, প্রতারণা করছে।