মহিলাদের জন্য ঘরে বসে ব্যবসা ঘরে বসে ক্ষুদ্র ব্যবসা মহিলাদের ঘরে বসে আয় টাকা ইনকামের আইডিয়া বাড়িতে বসে নারী ব্যবসা মেয়েদের জন্য ক্ষুদ্র ব্যবসা
আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি Top 5 Business Ideas For Women, অথাৎ মহিলাদের জন্য ৫টি টপ বিজনেস আইডিয়া যেগুলো বর্তমানে খারাপ এর পরিস্থিতিতে হতে চলেছে সবচেয়ে প্রফিটেবল বিজনেস। এখানে যেই যেই বিজনেসগুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন সেই বিজনেসগুলো আপনারা ঘরে বসে করতে পারবেন। অথাৎ আপনাদের মধ্যে যেকোনো মহিলা এই বিজনেস করতে পারেন। এর জন্যে কোনো অসুবিধা হবেনা।
1.Jewellery Making Business
জুয়েলারি মেকিং দুইধরনের হয়ে থাকে সেগুলো হলো যেমন :
- ১.জুয়েলারির সরঞ্জাম তৈরি
- 2.জুয়েলারিকে এসেম্বল করা বা জুয়েলারিকে এক জায়গায় এনে বিভিন্ন ডিজাইনের জুয়েলারি তৈরি করা।
যেমন : গলার হার, কানের দুল,নাকের নথ,হাতের চুড়ি, এগুলো বর্তমানে বিভিন্ন স্টাইলিশ বিভিন্ন ধরনের তৈরি করে মার্কটে বিক্রি করা হয়। এবং এর মিনিমাম প্রাইস দেড়শ-দুইশ টাকা হয়ে থাকে। কিন্তু আপনি একটা কথা জানলে অবাক হয়ে যাবেন যে আপনি যদি এই জুয়েলারীগুলো মার্কেট থেকে একটা ২০ টাকা দরে কিনে আনেন তাহলে সেগুলো একটি দুইশ টাকায় করে আপনি বিক্রি করতে পারবেন। অথাৎ দুইশ টাকার যেই প্রডাক্টগুলো আছে সেগুলোর এমনে এর রমেডিয়ান্সের দাম মাত্র বিশ টাকা। অথাৎ বুঝতেই পারছেন প্রায় ১০ গুণ প্রফিড থাকছে এই বিজনেসে।
কিন্তু এতে আপনার ক্রিয়েটিভিটি থাকা দরকার। অথাৎ আপনার বিভিন্ন নতুন নতুন জিনিসগুলো নতুন নতুন ইনভেনশন নতুন নতুন ডিজাইন আপনার নিজেকেই তৈরি করতে হবে। এই বিজনেসে আপনি যদি ২ হাজার টাকা নিয়ে শুরু করেন তাহলে আপনি চোখ বন্ধ করে প্রতি মাসে ১৫-২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এই জুয়েলারিগুলো আপনি অনলাইন, অফলাইন দুই দিকে বিক্রি করতে পারবেন। যেমন ফেসবুক, ওয়াসআপ অথবা যেকোনো প্লাটফর্মে বিক্রি করতে পারবেন। এবং এগুলোর ডিমান্ড চিরকালে থাকতে চলেছে। এইগুলো ডিমান্ড থাকার কারণ হলো প্রতিবছরই এগুলোতে নতুন নতুন ডিজাইন এবং ইনভেনশনস করা হয়। তো সেই ক্ষেত্রে এইগুলোর মধ্যে নিত্য নতুন যেই ব্যাপারটা আছে সেই ব্যাপারটা সারাজীবন রয়ে যাবে এবং এগুলো অনেকটাই এগিয়ে যাবে ।
2.Online Reselling Business
অনলাইন রিসেইলিং বিজনেস গত এক বছর পুরো বাংলাদেশে আলডন সৃষ্টি করেছে। আর তার সব থেকে বেশি কেডিট যায় meesho নামের এই ইন্ডিয়ান অনলাইন রিসেইলিং অ্যাপে। তাছাড়া এর সাথে Grow, shop 101, অ্যাপেও আছে, এখন আরো নানা রিসেইলিং চলে এসেছে এবং ভবিষ্যতে আরো তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু ভারতবর্ষ এক নাম্বারে হলো meesho।আমাদের বাংলাদেশে এখনো এই রকম প্রতিষ্ঠান নাই বললেই চলে। শুরু টা আপনি চাইলে করতে পারেন।
Reselling Business কিভাবে হয় ?
meesho তে কিছু প্রডাক্ট আপলোড করা থাকে সেখান থেকে সেই প্রডাক্টসের ছবি নিয়ে আপনি আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইটে বা WHAT’S APP অথবা FACEBOOK এবং বিভিন্ন মানুষ জনকে সেই ছবিটা দেখাতে পারেন। অ্যাপের মধ্যে সেই প্রডাক্টটার দাম হবে পাঁচশ টাকা। আপনি যদি আপনার বন্ধু বান্ধব এবং পরিজনদের ওয়াসআপে বা ফেসবুকে কোনো অপরিচিত মানুষের কাছে সেই প্রডাক্টার দাম বলবেন ছয়শ টাকা।
তাহলে তিনি সেই প্রডাক্টার জন্য ছয়শ টাকা দিতে রাজি হবে। আপনি তার কাছ থেকে তার নাম, অ্যাড্রেস নিয়ে meesho অ্যাপের মধ্যে গিয়ে সেখানে অর্ডারটা প্লেইস করে দিলে ছয়শ টাকা দাম করে।এইবার একশ টাকার প্রফিডটা পাবেন যখন তিনি প্রডাক্টটা ডেলিভারি করবে তার ৭ দিন পর সেই প্রফিডের একশ টাকা আপনার ব্যাংক একাউন্টে চলে আসবে। এইটাই হলো Reselling। এই কাজের জন্য আপনার নিজস্ব কোনো সেটআপের প্রয়োজন হবেনা আপনার প্রয়োজন শুধু একটা মোবাইল এবং মোবাইলে প্রয়োজন ইন্টারনেট।এখানে আপনি চোখ বন্ধ করে পাঁচশ টাকার মাল ছয়শ,সাতশ টাকা করে বিক্রি করতে পারবেন।
কেউ কোনো কিছু আপনাকে বলতে আসবেনা। অনলাইনে নিজস্ব ওয়েবসাইট খুলে এরপর ওয়াসআপ, ফেসবুক, ইউটিউবে চ্যানেল খুলে আপনি সেখানে বিজনেস করতে পারেন। এই বিজনেসে আপনার কোনো ধরনের ইনভেস্টমেন্ট লাগবেনা এবং মাসে ২০-৫০ হাজার টাকা আপনি ইনকাম করতে পারেন। আমার নিজের দেখা অনেকেই প্রচুর টাকা ইনকাম করছে।বাংলাদেশে এই রকম কিছু আছে কিনা জানিনা তবে আপনি দেখতে পারেন। না থাকলে কিছু দিনের মধ্যে অনেকে খোলবে।কারন আইডিয়াটা কিন্তু দারুণ।
3.Cake Making Business
এখন বর্তমান দিনে এই খারাপ পরিস্থিতিতে বাইরে থেকে মানুষজন কেক একটু কম কিনছে এবং কমই খাচ্ছে। কিন্তু বাড়িতে জন্মদিন পালন বা birthday celebration বা এর marriage anniversary celebration কিন্তু বন্ধ নেই। অথাৎ Homemade cake এর কিন্তু যেই ডিমান্ড আছে। সেই ডিমান্ডটা কিন্তু প্রচুর পরিমাণ বেড়েই চলেছে। অথাৎ আপনি যদি Homemade কেক তৈরি করতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে আপনার প্রচুর ডিমান্ড থাকবে।
এই ক্ষেত্রে আপনার একটাই জিনিস দরকার সেটা হলো Safety security এর জন্য Food Safety and security Authority Bangladesh এর কাছ থেকে একটা সার্টিফিকেট দরকার মাত্র একশ টাকার মাধ্যমে অনলাইনে আপনি সেই সার্টিফিকেটা পেয়ে যাবেন। যদি মুটামুটি দুই হাজার টাকা সেটআপ আপনি তৈরি করে নেন সেইক্ষেত্রে দুইশ টাকার যেই প্রডাক্টস বা মেট্রোরিয়াস অথবা রমেটেরিয়াস দিয়ে আপনি যেই কেকটা তৈরি করবেন সেইটা আপনি চোখ বন্ধ করে পাঁচশ-ছয়শ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন। আপনার ওয়াসআপ গ্রোপ, ফেসবুক গ্রোপ অথবা ইউটিউবে চ্যানেল খুলে আপনার কেক তৈরি করার প্রসেসগুলো দেখিয়ে আপনি অর্ডার নিতে পারেন।
আপনার এলাকা বা আপনার ফ্যামেলি ওয়াসআপ গ্রোপে আপনি সেই কেকগুলোর ছবি পোস্ট করলে সেখান থেকে আপনি অর্ডার পেতে পারেন। আপনি যদি মুটামুটি দুই হাজার টাকা সেটআপ খাটিয়ে এবং মেট্রোরিয়াল দিয়ে শুরু করেন সেইক্ষেত্রে আপনি মাসে ১০-১৫ হাজার টাকা সহজভাবে আয় করতে পারবেন এর জন্য কোনো ধরনের সমস্যা হবেনা।
কারণ এখানে আপনার প্রডাক্ট নষ্ট হওয়ার কোনো ব্যাপারই নেই আপনি প্রথমে অর্ডার পেলে তবেই আপনি কেক তৈরি করবেন এবং তৈরি করে সেগুলোকে ডেলিভারি করবেন। যদি একবার আপনার নাম হয়ে যায়। তখন আপনার কাছে বার-বার অর্ডার আসতেই থাকবে। এইভাবেই আপনি মাসে ১৫-২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
4.Chocolate Making Business
কেক মেকিং বিজনেস এর মতোই চকলেট মেকিং বিজনেসটাও খুবই সুন্দর এবং লাভজনক একটা বিজনেস। তো আপনাকে সেই একি বিষয় ASSAI বা Food Safety and Standards Authority Bangladesh এর পক্ষ থেকে একশ টাকা দিয়ে একটা সার্টিফিকেট বের করে নিতে হবে। যে আপনি Safety এবং Standards ভাবে এই প্রডাক্টটা তৈরি করছেন। আপনি বিভিন্ন ইভেন্ট ধরতে পারেন। যেমন এখনকার জন্মদিনে সবাই চকলেট গিফট করে। স্কুলের জন্মদিনেও বাচ্চারা চকলেট গিফট করে।
বিভিন্ন সেলিব্রেশনেও চকলেট গিফট করা হয়। তো আপনি ইভেন্ট, লোকাল হোল সেইলার,লোকাল ডিস্ট্রিবিউটরদেরকে বলতে পারেন আপনার চকলেট সেইল করার জন্য। আর চকলেট তৈরি করতে শুধু তিন-চারটা প্রডাক্ট দরকার। প্রথমটা হলো আপনার চকলেট কনসেন্ট্রেশন অথাৎ বড় একটা চকলেটের পেকেট। যেই চকলেটগুলোকে আপনাকে মাইক্রোউভেন বা গ্যাসে গুলিয়ে নিতে হবে এবং চকলেটার একটা ডিজাইন থাকবে বা চকলেটার একটা সাজ থাকবে যেই সাজের মধ্যে শুধু আপনাকে সেই চকলেটগুলোকে ডেলে দিতে হবে। ডেলে দিলে সেই সাজের অনু্যায়ী চকলেটগুলো ঠান্ডা হয়ে তৈরি হয়ে যাবে।
এবং সেগুলোকে পেকিং করার জন্য আপনার পেকিং মেট্রোরায়ালস লাগবে শুধু এইটুকুই । আপনি যদি মাইক্রোউভেন এখন কিনতে না-পারেন তাহলে সেইক্ষেত্রে আপনি গ্যাসের মাধ্যমে এইগুলো তৈরি করতে পারেন।এইক্ষেত্রে আপনি যদি হাজার টাকার মূলধন নিয়ে শুরু করেন এই ব্যবসা তাহলে চোখ বন্ধ করে আপনি মাসে ১০-১৫ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। কারণ ৫০ টাকার চকলেট মেকিং মেট্রেয়াল দিয়ে আপনি দুইশ টাকার কাছাকাছি চকলেট তৈরি করতে পারবেন।
যেগুলো আপনি বিক্রি করতে পারবেন। প্রতিটি দুইশ টাকা করে। ৫০ টাকাতে ২০০ টাকা অথাৎ ৪০০% প্রপিড আপনার কিন্তু থেকে যাচ্ছে। সেইক্ষেত্রে যদি আপনার কাছে মাইক্রোউভেন থাকে তাহলে খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে।
5.Content writing Blog Freelancing
এই বিজনেসটা বাড়িতে বসে করতে পারেন আর এই বিজনেসটা করার জন্য কোনো পুঁজি বা টাকার দরকার নেই।বিশেষ করে বেশিরভাগই মেয়েরাই ভালোভাবেই লিখতে জানে এবং লিখায় বেশি আগ্রহী আর পারদর্শী । আপনি যদি ভালোভাবে সুন্দর করে লিখতে পারেন বা আপনার লিখার আগ্রহ বেশি থাকে।
তাহলে আপনি অনলাইনে ব্লগ লিখে নিজের ওয়েবসাইট খুলে ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ব্লগ লিখে বা বিভিন্ন freelancing ওয়েবসাইট যেমন ফাইবার ডটকম বা আপওয়ারক ডটকমে আপনার নিজের প্রোফাইল সেটআপ করে আপনি প্রতিমাসে ১৫-২০ হাজার কিংবা ৫০ হাজার টাকাও ইনকাম করতে পারবেন। এবং আপনার নিজের ইচ্ছা মত আপনি কাজ করতে পারেন। এটিকে ফ্রিল্যান্সিং বলে বা আউটসোর্সিং বলে।
আপনি আউটসোর্সিং এর কাজ করতে পারেন। তাছাড়া নিজস্ব ওয়েবসাইটে আপনার নিজের লিখা লিখে পাবলিশ করতে পারেন।এবং গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন সেইক্ষেত্রে মাসে ১৫-২০ হাজার টাকা আপনি ইজিলি ইনকাম করতে পারবেন।
তো টোটাল ৫টি বিজনেস আইডিয়া মহিলাদের জন্য। আশাকরি এই বিজনেস আইডিয়াগুলোর মধ্যে যেকোনো একটা বিজনেস আইডিয়া আপনার পছন্দ হবে।এই বিজনেসগুলো শুধু মেয়েরাই করতে পারবে তেমন কোনো ব্যাপার নয় ছেলেরাও করতে পারবে।
তবে জুয়েলারি মেকিং এর ক্ষেত্রে মেয়েদের সেন্সটা অনেক বেশিই থাকে। মেয়েরা জানে যে কি ধরনের ডিজাইন এখন বর্তমানে চলছে। এবং কিভাবে এই ডিজাইনটা তৈরি করতে পারবে। কেকমেকিং এর ক্ষেত্রেও তাই এবং বাকীগুলো ছেলেরা করতে পারেন। তার জন্য কোনো অসুবিধা নেই। এবং আশাকরি এই লিখাগুলো পড়ার সাথে সাথেই বিজনেস করা শুরু করে দেবেন।
হিসাবরক্ষণ ব্যবসা কি লাভজনক
চরমভাবে। প্রকৃতপক্ষে, আপনি এমন কিছুতে আছেন যা স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদে আপনার জন্য বেশ লাভজনক হতে পারে। শীর্ষস্থানীয় স্বতন্ত্র ফুল-টাইম বুককিপাররা 6-এর বেশি পরিসংখ্যান তৈরি করতে পারে । এমনকি পার্ট-টাইম বুককিপাররাও আজকের অর্থনীতিতে ভাল করতে দাঁড়িয়েছে।
কোন ব্যবসায় বেশি লাভজনক
কম স্টার্টআপ খরচ, কম প্রতিযোগিতা এবং একটি ভাল দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি সহ একটি উচ্চ-প্রবৃদ্ধি শিল্পে একটি ব্যবসা লাভজনক হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। উদাহরণ হল আর্থিক পরিষেবা, ব্যক্তিগত পরিষেবা (যেমন ব্যক্তিগত প্রশিক্ষণ বা পোষা প্রাণীর যত্ন), পোষা প্রাণী এবং শিশুর সরবরাহ এবং ভাল অবস্থানে থাকা খুচরা দোকান।
হিসাবরক্ষক কি ভাল ব্যবসায়ের মালিক তৈরি করে
হিসাবরক্ষক তাদের প্রযুক্তিগত এবং কৌশলগত দক্ষতার জন্য মূল্যবান, এবং এই জ্ঞানের মানে হল যে অনেকে মহান উদ্যোক্তাও তৈরি করেছে ।